রসুলপুর একটি ছোট গ্রাম। এই পুরো গ্রামকে জমির পরিমাণের উপর ভিত্তি করে ছোট বড় অসংখ্য খন্ডে ভাগ করা হয়। ঠিক যেমন বাংলাদেশকে ৬৪টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রসুলপুরকে তো টুকরো টুকরো করা হলো কিন্তু এই টুকরো গুলোকে চিনতে পারব কিভাবে প্রতি খণ্ডকে একটি করে নাম দিয়ে দিলেই তো হয়, চিনতে সুবিধা হবে। কিন্তু এত নাম পাব কোথায়। তার চেয়ে তো প্রতি খণ্ডকে একটি মোবাইল নম্বরের মতো নম্বর দিয়ে দিলেই হয়। নম্বরের তো আর অভাব নাই। যখন যে জমির খণ্ডের প্রয়োজন হবে তখন সেই নম্বর বললেই সহজে চিনতে পারা যাবে। রসুলপুর গ্রামের প্রতিটি জমির খণ্ডকে চেনার জন্য প্রতিটি খণ্ডের যে পৃথক নম্বর দেয়া হয় তাকে দাগ নম্বর বলে। নিচের মৌজা ম্যাপে প্রতিটি ভূমি খণ্ডের একটি দাগ নম্বর দেয়া হয়েছে।
জমির হিস্যা ভালভাবে বুঝার পূর্বে খতিয়ান, মালিক, দাগ ও জমির পরিমাণ বলতে কি বুঝায় তা ভালভাবে বুঝতে হবে। ধরি, একটি ব্যাংক একাউন্টে ১০০০০ টাকা আছে এবং সেই একাউন্টের একজন মালিক। তাহলে সেই ১০০০০ টাকার মালিক ঐ একজন ব্যক্তি। কিন্তু যদি একাউন্টের মালিক হন ৪ জন এবং সবাই যদি ঐ একাউন্টের মোট টাকার ২৫% এর মালিক হন তাহলে ৪ জন মালিকের প্রতি জন ২৫০০ টাকার মালিক। এ বিষয়টিকে আমরা টাকার হিস্যা বলতে পারি। ঠিক তেমনি একটি খতিয়ানে জমির হিস্যা বলতে বুঝায় ঐ খতিয়ানে যে কয়জন মালিক আছেন তাদের প্রত্যেকে ঐ খতিয়ানে মোট যে পরিমাণ জমি আছে তার কতটুকু জমির মালিক। ধরি একটি খতিয়ানে ১ জন মালিক- রহিম মিয়া। তাহলে রহিম মিয়া একা ঐ খতিয়ানের সকল জমির মালিক। কিন্তু যদি কোন খতিয়ানে ৪ জন মালিক থাকেন তাহলে প্রত্যেকের নামের পাশে তিনি কত ভাগ জমির মালিক তা লেখা থাকবে। একে জমির হিস্যা বলে। এবার বিষয়টিকে আরেকটু জটিল করা যাক। ধরি, একটি খতিয়ানে ৪ জন মালিক এবং রহিম উদ্দিন একজন মালিক। ঐ খতিয়ানে ১টি মাত্র দাগ এবং ঐ দাগে মোট জমির পরিমাণ ২০ শতাংশ। ধরি, রহিমের নামের পাশে জমির হিস্যার অংশে ০.৪০০ লিখা আছে। তাহলে রহিম ঐ দাগে ২০x০.৪০০= ৮ শতাংশ জমির...
Comments
Post a Comment