Skip to main content

মালিকের নাম


ব্যাংক একাউন্টের যেমন মালিকের নাম থাকে ঠিক তেমনি জমির একাউন্টেরও (খতিয়ান) মালিকের নাম থাকে। একটি খতিয়ানে এক বা একাধিক মালিক থাকতে পারে। খতিয়ানে সাধারণত মালিকের নাম, পিতা বা স্বামীর নাম ও ঠিকানা থাকে। খতিয়ানে সাধারণত পিতা শব্দটির বদলে পিং, স্বামী শব্দটির বদলে জং এবং ঠিকানা শব্দটির বদলে সাং লিখা থাকে। কোন খতিয়ানে যদি একজন মালিক থাকেন তাহলে সেই খতিয়ানের সকল দাগের মালিক তিনি। অন্যদিকে যদি একাধিক মালিক থাকেন এবং একাধিক দাগ থাকে তাহলে তারা প্রত্যেকেই সকল দাগের মালিক হতে পারেন আবার না ও হতে পারেন। একাধিক মালিকের ক্ষেত্রে একটি খতিয়ানের দাগের মালিকানা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। ধরি, একটি খতিয়ানে ৪জন মালিক এবং প্রত্যেক মালিকের নামের পাশে (সমান্তরালে দাগ নম্বরের কলামে) একটি করে মোট ৪টি দাগ লেখা আছে। এক্ষেত্রে, এটি বলা ঠিক হবে না যে, একজন ব্যক্তি তার শুধুমাত্র তার নামের পাশে লেখা দাগের মালিক। তিনি কেবল ঐ দাগের মালিকও হতে পারেন আবার ৪টি দাগের মালিকও হতে পারেন। এক্ষেত্রে বাস্তব দখল মালিকানার বিষয়টি স্পষ্ট করে। নিচের বিলগুজাবগী মৌজার ৮৫০ খতিয়ানে ১৩ জন মালিক এবং ৪টি দাগ রয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

জমির হিস্যা বা অংশ

জমির হিস্যা ভালভাবে বুঝার পূর্বে খতিয়ান, মালিক, দাগ ও জমির পরিমাণ বলতে কি বুঝায় তা ভালভাবে বুঝতে হবে। ধরি, একটি ব্যাংক একাউন্টে ১০০০০ টাকা আছে এবং সেই একাউন্টের একজন মালিক। তাহলে সেই ১০০০০ টাকার মালিক ঐ একজন ব্যক্তি। কিন্তু যদি একাউন্টের মালিক হন ৪ জন এবং সবাই যদি ঐ একাউন্টের মোট টাকার ২৫% এর মালিক হন তাহলে ৪ জন মালিকের প্রতি জন ২৫০০ টাকার মালিক। এ বিষয়টিকে আমরা টাকার হিস্যা বলতে পারি। ঠিক তেমনি একটি খতিয়ানে জমির হিস্যা বলতে বুঝায় ঐ খতিয়ানে যে কয়জন মালিক আছেন তাদের প্রত্যেকে ঐ খতিয়ানে মোট যে পরিমাণ জমি আছে তার কতটুকু জমির মালিক। ধরি একটি খতিয়ানে ১ জন মালিক- রহিম মিয়া। তাহলে রহিম মিয়া একা ঐ খতিয়ানের সকল জমির মালিক। কিন্তু যদি কোন খতিয়ানে ৪ জন মালিক থাকেন তাহলে প্রত্যেকের নামের পাশে তিনি কত ভাগ জমির মালিক তা লেখা থাকবে। একে জমির হিস্যা বলে। এবার বিষয়টিকে আরেকটু জটিল করা যাক। ধরি, একটি খতিয়ানে ৪ জন মালিক এবং রহিম উদ্দিন একজন মালিক। ঐ খতিয়ানে ১টি মাত্র দাগ এবং ঐ দাগে মোট জমির পরিমাণ ২০ শতাংশ। ধরি, রহিমের নামের পাশে জমির হিস্যার অংশে ০.৪০০ লিখা আছে। তাহলে রহিম ঐ দাগে ২০x০.৪০০= ৮ শতাংশ জমির...

জমির শ্রেণী

কোন এলাকার সব জমি এক কাজে ব্যবহৃত হয় না। কৃষি, বাড়ি, দোকান, কবরস্থান, মন্দির, মসজিদ, পুকুর, খাল, বিল, ঈদগাহ, শ্মশান, রেললাইন, রাস্তা ইত্যাদি কাজে জমি ব্যবহৃত হয়। কোন জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে। কোথাও থাকে নদী, কোথাও থাকে হালট আবার কোথাও জঙ্গল। এভাবে কোন খতিয়ানে কোন জমির দাগের পাশে সেই জমির শ্রেণী লেখা থাকে। জমির শ্র্রেণী হতে বোঝা যায় যে এটি কোন ধরণের জমি। এতক্ষণ যে ধরণের জমির কথা বলা হয়েছে তা সবার কাছেই পরিচিত। কিন্তু ভূমি জরিপে এমন কিছু জমির শ্রেণী আছে বা জমির শ্রেণী হিসেবে এমন কিছু শব্দ আছে যা হয়ত সবার কাছে পরিচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ- নামা, কান্দা, নাল, হালট, গোপাট, নয়নজুলি, পাগাড় ইত্যাদি। এসব সম্পর্কে পরবর্তীতে জানা যাবে। তবে একটি বিষয় জেনে রাখা ভাল। সকল জমি ব্যক্তি মালিকানায় থাকে না; কিছু জমি সরকারি মালিকানায় থাকে। আবার কিছু জমি জনসাধারণ ব্যবহার করেন; যেমন- রাস্তা, খাল, বিল, নালা, হালট, গোপাট ইত্যাদি। নিচের খতিয়ানে জমির সকল দাগের জমির শ্রেণী নামা।

সাবেক দাগ ও হাল দাগ

জরিপের প্রধান কাজ হলো একটি মৌজার মৌজা ম্যাপ তৈরি করা। পূর্বেই বলা হয়েছে মৌজা ম্যাপে অসংখ্য ভূমি খণ্ড আঁকা থাকে এবং এসব ভূমি খন্ডের একটি দাগ নম্বর দেয়া হয়। সাধারণত একটি জরিপের অনেক বছর পর অপর একটি জরিপ পরিচালিত হয়। এত বছরের ব্যবধানে এবং জমির মালিকানা বদলের কারণে অথবা অন্যান্য কারণে জমির খণ্ড বা দাগসমূহের আকার/আকৃতি বা জমির পরিমাণ পরিবর্তিত হয়; আবার কখনও আকার/আকৃতি অপরিবর্তিত থেকে যায়। কখনও কখনও দেখা যায় যে পূর্ববর্তী জরিপের একটি বড় খন্ডের জমি (দাগ) পরবর্তী জরিপে ভেঙ্গে একাধিক খন্ডে (দাগে) পরিণত হয়। তখন নতুন জরিপে এই নতুন জমির খণ্ডগুলোকে চেনার জন্য পরিচিতি নম্বর (দাগ নম্বর) দেয়া হয়। ধরি, নেত্রকোণা জেলায় ১৯৬০-১৯৬২ সালে পরিচালিত এসএ জরিপে সাতপাই মৌজার একটি দাগ নম্বর ছিল ১০৩ এবং সেই দাগে জমির পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ। ১৯৮০-১৯৮২ সালে নেত্রকোণা জেলায় পরিচালিত বিআরএস জরিপে সাতপাই মৌজার ১০৩ দাগটি ভেঙ্গে ৩টি খন্ডে পরিণত হয়েছে। এই তিনটি খণ্ডকে চেনার জন্য ২০৪, ২০৫ ও ২০৬ পরিচিতি নম্বর (দাগ নম্বর) দেয়া হয়েছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, বিআরএস ২০৪, ২০৫ ও ২০৬ দাগ তিনটি এসএ ১০৩ দাগ হতে এসেছে। এক্ষেত্রে বিআরএস...