এতক্ষণ যে রসুলপুরের গল্প বললাম সেই রসুলপুরকে ভূমির ভাষায় মৌজা বলে। এটি পায়ে পড়ার মোজা না। তাহলে দেখা গেল রসুলপুর গ্রাম হয়ে গেল মৌজা আর এই মৌজা কে কিছু জমির খন্ডে ভাগ করে প্রতিটি খণ্ডের একটি নম্বর দেয়া হলো। যে নম্বরকে দাগ বলে।তাহলে সহজ কথায় বলা যায় কিছু দাগ নিয়ে একটি মৌজা গঠিত হয়। মৌজাকে ভূমি জরিপের একক বলা হয়।
জমির হিস্যা ভালভাবে বুঝার পূর্বে খতিয়ান, মালিক, দাগ ও জমির পরিমাণ বলতে কি বুঝায় তা ভালভাবে বুঝতে হবে। ধরি, একটি ব্যাংক একাউন্টে ১০০০০ টাকা আছে এবং সেই একাউন্টের একজন মালিক। তাহলে সেই ১০০০০ টাকার মালিক ঐ একজন ব্যক্তি। কিন্তু যদি একাউন্টের মালিক হন ৪ জন এবং সবাই যদি ঐ একাউন্টের মোট টাকার ২৫% এর মালিক হন তাহলে ৪ জন মালিকের প্রতি জন ২৫০০ টাকার মালিক। এ বিষয়টিকে আমরা টাকার হিস্যা বলতে পারি। ঠিক তেমনি একটি খতিয়ানে জমির হিস্যা বলতে বুঝায় ঐ খতিয়ানে যে কয়জন মালিক আছেন তাদের প্রত্যেকে ঐ খতিয়ানে মোট যে পরিমাণ জমি আছে তার কতটুকু জমির মালিক। ধরি একটি খতিয়ানে ১ জন মালিক- রহিম মিয়া। তাহলে রহিম মিয়া একা ঐ খতিয়ানের সকল জমির মালিক। কিন্তু যদি কোন খতিয়ানে ৪ জন মালিক থাকেন তাহলে প্রত্যেকের নামের পাশে তিনি কত ভাগ জমির মালিক তা লেখা থাকবে। একে জমির হিস্যা বলে। এবার বিষয়টিকে আরেকটু জটিল করা যাক। ধরি, একটি খতিয়ানে ৪ জন মালিক এবং রহিম উদ্দিন একজন মালিক। ঐ খতিয়ানে ১টি মাত্র দাগ এবং ঐ দাগে মোট জমির পরিমাণ ২০ শতাংশ। ধরি, রহিমের নামের পাশে জমির হিস্যার অংশে ০.৪০০ লিখা আছে। তাহলে রহিম ঐ দাগে ২০x০.৪০০= ৮ শতাংশ জমির...
Comments
Post a Comment