Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2018

মৌজা

এতক্ষণ যে রসুলপুরের গল্প বললাম সেই রসুলপুরকে ভূমির ভাষায় মৌজা বলে। এটি পায়ে পড়ার মোজা না। তাহলে দেখা গেল রসুলপুর গ্রাম হয়ে গেল মৌজা আর এই মৌজা কে কিছু জমির খন্ডে ভাগ করে প্রতিটি খণ্ডের একটি নম্বর দেয়া হলো। যে নম্বরকে দাগ বলে।তাহলে সহজ কথায় বলা যায় কিছু দাগ নিয়ে একটি মৌজা গঠিত হয়। মৌজাকে ভূমি জরিপের একক বলা হয়।

খতিয়ান নম্বর

রসুলপুর গ্রামের সম্পূর্ণ জমিকে অনেক খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত করা হলো। প্রতিটি জমির খন্ডেরই মালিক আছে। কেউ হয়ত একটি জমির খণ্ডের মালিক, কেউ হয়ত অনেকগুলো খণ্ডের। জমির এই মালিকানার সঠিক হিসাব রাখার জন্য তাহলে একটি একাউন্ট নম্বর দরকার। ঠিক যেমন ব্যাংক একাউন্টের মতো। কোন একাউন্টে কত টাকা, কোন একাউন্টের কে মালিক, কত টাকা জমা করা হলো, কত টাকা উত্তোলন করা হল এসব ব্যাংক একাউন্ট হতে সহজেই জানা যায়। ঠিক তেমনই জমির হিসাবের জন্য যে একাউন্ট নম্বর দেয়া হয় তাকে খতিয়ান নম্বর বলা হয়। অর্থাৎ, জমির যে একাউন্ট নম্বর হতে জমির মালিক, জমির দাগ নম্বর, জমির পরিমাণ, জমির শ্রেণী, জমির মালিকের কতটুকু জমি প্রাপ্য ইত্যাদি জানা যায় তাকে খতিয়ান নম্বর বা খতিয়ান বলে বলে। একটি খতিয়ান নম্বরের মধ্যে একজন মালিক থাকতে পারে আবার একাধিক মালিকও থাকতে পারে। একটি খতিয়ানে এক বা একাধিক দাগ থাকতে পারে। একটি খতিয়ান নম্বরের মালিকের এক খণ্ড জমি (একটি দাগ নম্বর) থাকতে পারে আবার একাধিক খণ্ডও (দাগ নম্বর) থাকতে পারে, ঠিক তেমনি একজন মালিকের একই মৌজায় একটি খতিয়ান থাকতে পারে আবার একাধিক খতিয়ানও থাকতে পারে। খতিয়ান কে স্বত্বলিপি বা রেকর্ড অব রাইটস ...

সাবেক খতিয়ান ও হাল খতিয়ান

টাকার হিসাব রাখার জন্য ব্যাংকে যেমন একটি একাউন্ট নম্বর থাকে ঠিক তেমনি জমিরও একটি একাউন্ট নম্বর থাকে। একে খতিয়ান নম্বর বলে। একটি জরিপে কোন একটি দাগ এক বা একাধিক একাউন্টে (খতিয়ানে) অন্তর্ভুক্ত থাকে। পরবর্তী জরিপে সেই দাগটি অন্য একটি নতুন একাউন্টে (খতিয়ানে) অন্তর্ভুক্ত হয়। এক্ষেত্রে, পূর্বের একাউন্ট নম্বরকে সাবেক খতিয়ান এবং বর্তমান একাউন্ট নম্বরকে হাল খতিয়ান বলে। একটু জটিল মনে হচ্ছে। ধরি, এসএ রেকর্ডে মোঃ রহিম উদ্দিন এর একটি একাউন্ট (খতিয়ান নম্বর) ছিল যার নম্বর ২০১। এই একাউন্টে ৬৭, ১০৩ ও ৩০৪ এই তিনটি জমির খণ্ড (দাগ নম্বর) ছিল। তিনি এক সময় তার মালিকানার এই তিনটি দাগের জমি বিক্রি করে দেন। ৬৭ ও ১০৩ দাগের জমি বিক্রি করেন জামাল মিয়ার নিকট এবং ৩০৪ দাগের সকল জমি বিক্রি করেন হোসেন মিয়ার নিকট। পরবর্তীতে বিআরএস রেকর্ডে এসএ ৬৭ এবং ১০৩ দাগটির নতুন পরিচিতি নম্বর (দাগ নম্বর) ১০৫ ও ৪০৫ হয়। তখন জামাল মিয়ার নামে ৩০৮ নম্বর একাউন্ট (খতিয়ান) খোলা হয় এবং সেই একাউন্টে বিআরএস ১০৫ ও ৪০৫ দাগের জমি অন্তর্ভুক্ত হয়। এ ক্ষেত্রে ৩০৮ হলো হাল খতিয়ান এবং ২০১ হলো সাবেক খতিয়ান। আবার, এসএ ৩০৪ দাগটি বিআরএস রেকর্ডে নতুন পরি...

সাবেক দাগ ও হাল দাগ

জরিপের প্রধান কাজ হলো একটি মৌজার মৌজা ম্যাপ তৈরি করা। পূর্বেই বলা হয়েছে মৌজা ম্যাপে অসংখ্য ভূমি খণ্ড আঁকা থাকে এবং এসব ভূমি খন্ডের একটি দাগ নম্বর দেয়া হয়। সাধারণত একটি জরিপের অনেক বছর পর অপর একটি জরিপ পরিচালিত হয়। এত বছরের ব্যবধানে এবং জমির মালিকানা বদলের কারণে অথবা অন্যান্য কারণে জমির খণ্ড বা দাগসমূহের আকার/আকৃতি বা জমির পরিমাণ পরিবর্তিত হয়; আবার কখনও আকার/আকৃতি অপরিবর্তিত থেকে যায়। কখনও কখনও দেখা যায় যে পূর্ববর্তী জরিপের একটি বড় খন্ডের জমি (দাগ) পরবর্তী জরিপে ভেঙ্গে একাধিক খন্ডে (দাগে) পরিণত হয়। তখন নতুন জরিপে এই নতুন জমির খণ্ডগুলোকে চেনার জন্য পরিচিতি নম্বর (দাগ নম্বর) দেয়া হয়। ধরি, নেত্রকোণা জেলায় ১৯৬০-১৯৬২ সালে পরিচালিত এসএ জরিপে সাতপাই মৌজার একটি দাগ নম্বর ছিল ১০৩ এবং সেই দাগে জমির পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ। ১৯৮০-১৯৮২ সালে নেত্রকোণা জেলায় পরিচালিত বিআরএস জরিপে সাতপাই মৌজার ১০৩ দাগটি ভেঙ্গে ৩টি খন্ডে পরিণত হয়েছে। এই তিনটি খণ্ডকে চেনার জন্য ২০৪, ২০৫ ও ২০৬ পরিচিতি নম্বর (দাগ নম্বর) দেয়া হয়েছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, বিআরএস ২০৪, ২০৫ ও ২০৬ দাগ তিনটি এসএ ১০৩ দাগ হতে এসেছে। এক্ষেত্রে বিআরএস...

পর্চা

অনেকেই আমরা খতিয়ান বলতে পর্চা শব্দটি ব্যবহার করি। যদিও খতিয়ান এবং পর্চার বিষয়বস্তু একই কিন্তু এ দুটোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কোন জরিপ যখন সম্পন্ন হয় তখন চূড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশিত হওয়ার পর মালিকানার বিবরণ সম্বলিত বিবরণী হল খতিয়ান। কিন্তু জরিপের প্রাথমিক পর্ায়ে জমির মালিককে যে খসড়া মালিকানার বিবরণী দেয়া হয় তাকে পর্চা বলে।

এস.এ. জরিপ (State Acquisition Survey)

১৯৫০ সালে জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সরকার ১৯৫৬ সালে সমগ্র পূর্ববঙ্গ প্রদেশে জমিদারী অধিপ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় এরং রায়েতের সাথে সরকারের সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে জমিদারদের প্রদেয় ক্ষতিপুরণ নির্ধারন এবং রায়তের খাজনা নির্ধারনের জন্য এই জরিপ ছিল। জরুরী তাগিদে জমিদারগন হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই জরিপ বা খতিয়ান প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।

আর.এস. জরিপ (Revisional Survey)

সি. এস. জরিপ সম্পন্ন হওয়ার বহু বছর পর এই জরিপ পরিচালিত হয়। জমি, মলিক এবং দখলদার ইত্যাদি হালনাগাদ করার নিমিত্তে এ জরিপ সম্পন্ন করা হয়। এসএ জরিপে খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্ত করেননি বিধায় এসএ রেকর্ডে অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে যায়। এসকল ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মাপ-ঝোঁক করে পুরনায় খতিয়ান প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেয়। এই জরিপকে আরএস জরিপ বলে। এ জরিপের খতিয়ানকে আরেএস খতিয়ান বলে। 

জমির শ্রেণী

কোন এলাকার সব জমি এক কাজে ব্যবহৃত হয় না। কৃষি, বাড়ি, দোকান, কবরস্থান, মন্দির, মসজিদ, পুকুর, খাল, বিল, ঈদগাহ, শ্মশান, রেললাইন, রাস্তা ইত্যাদি কাজে জমি ব্যবহৃত হয়। কোন জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে। কোথাও থাকে নদী, কোথাও থাকে হালট আবার কোথাও জঙ্গল। এভাবে কোন খতিয়ানে কোন জমির দাগের পাশে সেই জমির শ্রেণী লেখা থাকে। জমির শ্র্রেণী হতে বোঝা যায় যে এটি কোন ধরণের জমি। এতক্ষণ যে ধরণের জমির কথা বলা হয়েছে তা সবার কাছেই পরিচিত। কিন্তু ভূমি জরিপে এমন কিছু জমির শ্রেণী আছে বা জমির শ্রেণী হিসেবে এমন কিছু শব্দ আছে যা হয়ত সবার কাছে পরিচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ- নামা, কান্দা, নাল, হালট, গোপাট, নয়নজুলি, পাগাড় ইত্যাদি। এসব সম্পর্কে পরবর্তীতে জানা যাবে। তবে একটি বিষয় জেনে রাখা ভাল। সকল জমি ব্যক্তি মালিকানায় থাকে না; কিছু জমি সরকারি মালিকানায় থাকে। আবার কিছু জমি জনসাধারণ ব্যবহার করেন; যেমন- রাস্তা, খাল, বিল, নালা, হালট, গোপাট ইত্যাদি। নিচের খতিয়ানে জমির সকল দাগের জমির শ্রেণী নামা।

মালিকের নাম

ব্যাংক একাউন্টের যেমন মালিকের নাম থাকে ঠিক তেমনি জমির একাউন্টেরও (খতিয়ান) মালিকের নাম থাকে। একটি খতিয়ানে এক বা একাধিক মালিক থাকতে পারে। খতিয়ানে সাধারণত মালিকের নাম, পিতা বা স্বামীর নাম ও ঠিকানা থাকে। খতিয়ানে সাধারণত পিতা শব্দটির বদলে পিং, স্বামী শব্দটির বদলে জং এবং ঠিকানা শব্দটির বদলে সাং লিখা থাকে। কোন খতিয়ানে যদি একজন মালিক থাকেন তাহলে সেই খতিয়ানের সকল দাগের মালিক তিনি। অন্যদিকে যদি একাধিক মালিক থাকেন এবং একাধিক দাগ থাকে তাহলে তারা প্রত্যেকেই সকল দাগের মালিক হতে পারেন আবার না ও হতে পারেন। একাধিক মালিকের ক্ষেত্রে একটি খতিয়ানের দাগের মালিকানা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। ধরি, একটি খতিয়ানে ৪জন মালিক এবং প্রত্যেক মালিকের নামের পাশে (সমান্তরালে দাগ নম্বরের কলামে) একটি করে মোট ৪টি দাগ লেখা আছে। এক্ষেত্রে, এটি বলা ঠিক হবে না যে, একজন ব্যক্তি তার শুধুমাত্র তার নামের পাশে লেখা দাগের মালিক। তিনি কেবল ঐ দাগের মালিকও হতে পারেন আবার ৪টি দাগের মালিকও হতে পারেন। এক্ষেত্রে বাস্তব দখল মালিকানার বিষয়টি স্পষ্ট করে। নিচের বিলগুজাবগী মৌজার ৮৫০ খতিয়ানে ১৩ জন মালিক এবং ৪টি দাগ রয়েছে।

জমির হিস্যা বা অংশ

জমির হিস্যা ভালভাবে বুঝার পূর্বে খতিয়ান, মালিক, দাগ ও জমির পরিমাণ বলতে কি বুঝায় তা ভালভাবে বুঝতে হবে। ধরি, একটি ব্যাংক একাউন্টে ১০০০০ টাকা আছে এবং সেই একাউন্টের একজন মালিক। তাহলে সেই ১০০০০ টাকার মালিক ঐ একজন ব্যক্তি। কিন্তু যদি একাউন্টের মালিক হন ৪ জন এবং সবাই যদি ঐ একাউন্টের মোট টাকার ২৫% এর মালিক হন তাহলে ৪ জন মালিকের প্রতি জন ২৫০০ টাকার মালিক। এ বিষয়টিকে আমরা টাকার হিস্যা বলতে পারি। ঠিক তেমনি একটি খতিয়ানে জমির হিস্যা বলতে বুঝায় ঐ খতিয়ানে যে কয়জন মালিক আছেন তাদের প্রত্যেকে ঐ খতিয়ানে মোট যে পরিমাণ জমি আছে তার কতটুকু জমির মালিক। ধরি একটি খতিয়ানে ১ জন মালিক- রহিম মিয়া। তাহলে রহিম মিয়া একা ঐ খতিয়ানের সকল জমির মালিক। কিন্তু যদি কোন খতিয়ানে ৪ জন মালিক থাকেন তাহলে প্রত্যেকের নামের পাশে তিনি কত ভাগ জমির মালিক তা লেখা থাকবে। একে জমির হিস্যা বলে। এবার বিষয়টিকে আরেকটু জটিল করা যাক। ধরি, একটি খতিয়ানে ৪ জন মালিক এবং রহিম উদ্দিন একজন মালিক। ঐ খতিয়ানে ১টি মাত্র দাগ এবং ঐ দাগে মোট জমির পরিমাণ ২০ শতাংশ। ধরি, রহিমের নামের পাশে জমির হিস্যার অংশে ০.৪০০ লিখা আছে। তাহলে রহিম ঐ দাগে ২০x০.৪০০= ৮ শতাংশ জমির...

জমির পরিমাণ

একটি খতিয়ানে এক বা একাধিক জমির খণ্ড অর্থাৎ দাগ নম্বর থাকতে পারে। প্রতিটি দাগ নম্বরের পাশে ঐ দাগে বা জমির খণ্ডে কতটুকু পরিমাণ জমি আছে তা লিখা থাকে। এছাড়াও, খতিয়ানের নীচের অংশে ঐ খতিয়ানে মোট জমির পরিমাণ লিখা থাকে। যদি খতিয়ানে একটি দাগ থাকে তাহলে মোট জমির পরিমাণের অংশে ঐ দাগের জমির পরিমাণ লিখা থাকে এবং যদি একাধিক দাগ থাকে তাহলে সকল দাগের মোট জমির পরিমাণ লিখা থাকে। নিচের চিত্রে বিলগুজাবগী মৌজার ৮৫০ খতিয়ানের মোট জমির পরিমাণ ৩ একর ২১ শতাংশ।

মৌজা ম্যাপ

বাংলাদেশের যেমন একটি ম্যাপ আছে, ঠিক নেত্রকোণার একটি ম্যাপ আছে। আবার ঐ রসুলপুর গ্রামেরও একটি ম্যাপ আছে। এই রসুলপুর মৌজার ম্যাপকে মৌজা ম্যাপ বলে। এই ম্যাপে প্রতিটি জমির খণ্ড আঁকা থাকে এবং প্রতিটি খণ্ডের উপর সেই দাগ নম্বর লিখা থাকে। এছাড়াও, এতে মৌজার নাম, জেএল নং, সাংকেতিক চিহ্ন, বাটা দাগ, সিটভুক্ত দাগসমূহ, ম্যাপটি ঐ মৌজার কত নম্বর সিট এবং ঐ মৌজার চারপাশে অবস্থিত অন্যান্য মৌজার নাম থাকে। নিচের চিত্রে উল্লিখিত বিষয়সমূহ রয়েছে।

দাগ নম্বর

রসুলপুর একটি ছোট গ্রাম। এই পুরো গ্রামকে জমির পরিমাণের উপর ভিত্তি করে ছোট বড় অসংখ্য খন্ডে ভাগ করা হয়। ঠিক যেমন বাংলাদেশকে ৬৪টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রসুলপুরকে তো টুকরো টুকরো করা হলো কিন্তু এই টুকরো গুলোকে চিনতে পারব কিভাবে প্রতি খণ্ডকে একটি করে নাম দিয়ে দিলেই তো হয়, চিনতে সুবিধা হবে। কিন্তু এত নাম পাব কোথায়। তার চেয়ে তো প্রতি খণ্ডকে একটি মোবাইল নম্বরের মতো নম্বর দিয়ে দিলেই হয়। নম্বরের তো আর অভাব নাই। যখন যে জমির খণ্ডের প্রয়োজন হবে তখন সেই নম্বর বললেই সহজে চিনতে পারা যাবে। রসুলপুর গ্রামের প্রতিটি জমির খণ্ডকে চেনার জন্য প্রতিটি খণ্ডের যে পৃথক নম্বর দেয়া হয় তাকে দাগ নম্বর বলে। নিচের মৌজা ম্যাপে প্রতিটি ভূমি খণ্ডের একটি দাগ নম্বর দেয়া হয়েছে।